2016 NEW MUSIC VIDEO

সাকিব আর সহারার গোপন ভিডিও দেখতে নিচের DOWNLOAD বাটনে ক্লিক করুন

Saturday, April 30, 2016

ফেসবুকে পরিচয়, দেখা করতে গিয়ে রাতভর ধর্ষণের শিকার দুই স্কুলছাত্রী !



ফেসবুকে পরিচয়, দেখা করতে গিয়ে রাতভর ধর্ষণের শিকার দুই স্কুলছাত্রী !




VIDEO CLICK HERE....

প্রতীকী ছবি :
মাত্রকিছুদিন হলো ফেসবুকে একাউন্ট খুলেছিলো ঐ স্কুলছাত্রী কিশোরী। তারপর ফেসবুকেই পরিচয় অভিযুক্ত কিশোরের সাথে। ঘটনার দিন মায়ের অনুপস্থিতিতে বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল নবম শ্রেণির ছাত্রী। দিদিমাকে বলেছিল, বান্ধবীর বাড়ি যাচ্ছে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ফিরে আসবে। কিন্তু রাত গড়ালেও ফেরেনি মেয়ে। অবশেষে কলকাতার বাঁশদ্রোণী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন মা। তার পরেও সারা রাত খোঁজ মেলেনি ওই কিশোরীর। পরদিন সকালে অবশ্য মেয়ে ফিরে আসে বাড়িতে। তবে ধুঁকতে ধুঁকতে, বিধ্বস্ত চেহারায়।
কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ সুত্রে, জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ওই কিশোরী মাকে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ফেসবুকে পরিচিত এক বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বেরিয়েছিল সে। সঙ্গে ছিল পাড়ার এক বান্ধবীও। পরে সেই বন্ধুই আরও তিন জনকে সঙ্গে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছে। শ্লীলতাহানি করা হয়েছে তার বান্ধবীরও। এর পরেই ওই কিশোরীর পরিবার থানায় গিয়ে মেয়ের ধর্ষণের অভিযোগ জানায়।
পুলিশ জানায়, তদন্তে উঠে আসে অনীক ভট্টাচার্য নামে এক তরুণের কথা। নিউ আলিপুরে তার বাড়িতেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ।
কে এই অনীক?
পুলিশ জেনেছে, শুধু ওই রাতেই নয়, অনীকের ফ্ল্যাটে মাঝেমধ্যেই গভীর রাতে চলত বন্ধু-বান্ধবীদের আড্ডা। অনীকের মা-ও বলেছেন, ওই দিন গভীর রাতে অনীকের ঘরে বন্ধুদের দলে ওই মেয়েদের তিনি দেখেছেন। তাঁকে ওই মেয়েরা ‘গুড নাইট’ও জানায়।
অনীক ওই এলাকারই এক স্কুলের ছাত্র। পরিবার সূত্রে খবর, গত বছর সে উচ্চ মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হয়। তার আগের বছর শরীর খারাপ ছিল বলে পরীক্ষা দিতে পারেনি। এই বছর ফের উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছে। পরীক্ষার পরে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরাঘুরি, আড্ডা বেড়ে গিয়েছে বলে জানান অনীকের মা। অনীকের বাবা পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা ওই এলাকার পুরনো বাসিন্দা।
ছেলের অনেক বান্ধবী আছে বলেও জানালেন অনীকের বাবা-মা। অনীকের মা জানালেন, তাঁরা নিউ আলিপুরের ওই বাড়ির দোতলা ও তিনতলার দু’টি ফ্ল্যাট নিয়ে থাকেন। দোতলায় স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে থাকেন তিনি। তিনতলায় থাকেন তাঁর বৃদ্ধ মা-বাবা। মা-বাবা এখন শহরে নেই। তাই তিনতলার ফ্ল্যাট ফাঁকা। ঘটনার রাতে অনীক বন্ধুদের নিয়ে ওই ফ্ল্যাটেই ছিল। অনীকের মা বলেন, ‘আমাদের তিনতলার ফাঁকা ফ্ল্যাটেই ওরা রাত জেগে আড্ডা দিত। কখনও খারাপ কিছু টের পাইনি।’
তবে ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার অনীককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধরা হয়েছে তার তিন বন্ধুকেও। ধৃতদের মধ্যে অনীক ও সঙ্কেত ঘোষ তরুণ, বাকি দু’জন নাবালক। শনিবার ধৃতদের আলিপুর দায়রা আদালতে হাজির করা হলে অনীক ও সঙ্কেতকে পুলিশি হাজতে পাঠানো হয়েছে। দুই নাবালকের ঠাঁই হয়েছে জুভেনাইল হোমে। ওই দুই কিশোরীকেও একটি হোমের আশ্রয়ে পাঠিয়েছে আদালত।
পুলিশ সূত্রে খবর, কিছু দিন আগে অভিযুক্ত এক কিশোরের সঙ্গে অভিযোগকারিণী কিশোরীর আলাপ হয়। বৃহস্পতিবার ওই অভিযুক্ত কিশোরই ফোন করে কিশোরীকে কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনের যেতে বলে। সেই মতো ওই কিশোরী এক বান্ধবীকে নিয়ে রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনে যায়। ওই কিশোরী পুলিশকে জানিয়েছে, রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনে ওই কিশোরের বদলে অনীক হাজির হয়। পরে আসে সঙ্কেতও।
পুলিশ জানায়, অনীক ও সঙ্কেতের সঙ্গে ওই দুই কিশোরী রবীন্দ্র সরোবর লেকে যায়। সেখানেই অন্য দুই অভিযুক্ত এসে যোগ দেয়। পরে ওই ছ’জনে অনীকের বাড়ি যায়। ওই ফ্ল্যাটে অন্য কেউ ছিল না। অভিযোগ, ওই বাড়িতে গিয়ে অভিযোগকারিণীর বান্ধবীকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। অন্য একটি শোয়ার ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় ওই কিশোরীকে। ওই কিশোরীর বিবস্ত্র অবস্থায় ছবিও তোলা হয় বলে অভিযোগ।
কিশোরী পুলিশকে জানিয়েছে, সারা রাত তাদের দু’জনকে ওই বাড়িতে আটকে রাখা হয়। শুক্রবার ভোরে তাদের রবীন্দ্র সরোবর মেট্রোর সামনে ছেড়ে দেয় অভিযুক্তেরা। ধর্ষণের কথা বাড়িতে জানালে ওই কিশোরীর ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, কিশোরীকে নিয়ে পুলিশ প্রথমে অনীকের বাড়িতে হানা দেয়। তাকে ও অভিযুক্ত এক নাবালককে ধরার পরে নারকেলডাঙা থেকে সঙ্কেত ও ঠাকুরপুকুর থেকে আরও এক নাবালককে ধরা হয়। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তেরা ফেসবুকে ফাঁদ পেতে ওই কিশোরীকে ফাঁসায়। তদন্তকারীরা বলছেন, বাকি অভিযুক্তেরাও উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারের। তিন জন এখনও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্র। পুলিশের দাবি, ওই অভিযুক্তেরা প্রায়ই গাড়ি নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। সঙ্কেত ও অনীককে প্রায়ই রাতে লেক এলাকায় দেখা যায়।
শনিবার আলিপুর দায়রা আদালতে অভিযুক্তদের হাজির করার সময়ে সঙ্কেতের দাদু এবং অন্য দুই নাবালকের মা ছিলেন। নাবালকদের পরিবারের দাবি, অভিযোগকারিণীর সঙ্গে তাঁদের ছেলেদের বন্ধুত্বের কথা জানতেন। মেয়েটিকে আগেও দেখেছেন তাঁরা। দুই অভিযুক্ত নাবালকের পরিবারই ছেলেদের ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করে। তবে নাতির এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ সঙ্কেতের দাদু। তিনি বলেন, “নাতি অনেক দিন আগেই বখে গিয়েছিল। ওর বাবা-মা এ ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়নি।” এ দিন নাতির হয়ে কোনও আইনজীবীও নিয়োগ করেননি ওই বৃদ্ধ।
নিউ আলিপুরের পি ব্লকে নিজের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে অনীকের মা দাবি করেছেন, তাঁর ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে। ওই মহিলার দাবি, বৃহস্পতিবার রাত একটা নাগাদ তিনতলার ফ্ল্যাটে গিয়ে ওই দুই কিশোরীকে দেখেছিলেন তিনি। যদিও প্রশ্ন উঠেছে, এত রাতে ছেলের ঘরে দুই কিশোরীকে দেখেও অনীকের মা কেন তাদের বাড়ি চলে যেতে বলেননি? বাড়ি যাওয়া সম্ভব না হলে কেন তাদের নিজের ঘরে নিয়ে যাননি? অনীকের মায়ের উত্তর, “এ রকম আড্ডা মাঝেমধ্যেই হত। তাই সে রকম অস্বাভাভিকতা টের পাইনি।” অনীকের বাবা জানান, তিনি ওই রাতে দেরিতে ফিরেছিলেন। কিছুই জানতেন না। তাঁর মন্তব্য, ‘এটি চক্রান্ত।’
এমন ভয়ানক সব ঘটনা ‘এ দেশ, সে দেশ নয়; ঘটছে সবখানেই। প্রয়োজন সতর্কতা আর সচেতনতা বৃদ্ধির।


Thursday, April 28, 2016

যে চার ধরনের গোপন মিলন ইসলামে নিষিদ্ধ (দেখুন ভিডিওসহ )

যে চার ধরনের গোপন মিলন ইসলামে নিষিদ্ধ (দেখুন ভিডিওসহ )


মেডিকেল বইয়ে মুসলিম সেক্সুয়াল বিহেভিয়ারের প্রশংসা করে লেখা আছে, “মুসলিম ছেলেদের মুসলমানি করা থাকে তাই তাদের স্ত্রীর অমুক অসুখ কম হয়। অথবা ইন্টারকোর্স এ মুসলিমরা অমুক নিয়মটি ফলো করে তাই তাদের অমুক অসুখটি হয় না।” মূলত ইসলামে নিদিষ্ট কিছু মিলন আচরণ নিষিদ্ধ করেছে।
এগুলো হলো বিবাহ বহির্ভূত মিলন, সমকামিতা, মলদ্বারে মিলন এবং পিরিয়ড চলাকালীর মিলন। শারীরিক না অসঙ্গতির কারণ এসব মিলনের ফলে হতে পারে। যা বিশেষজ্ঞ দ্বারা প্রমাণিত। কিন্তু আজকাল অনেকে বিভিন্ন নীল ছবি দেখে সেসব না মেনে নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনছেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত সেই ৪ ধরনের মিলন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে।

Wednesday, April 27, 2016

রবিতে ১৮ টাকায় ২ জিবি ইন্টারনেট অফার মেয়াদ ১৪ দিন

                     রবিতে ১৮ টাকায় ২ জিবি ইন্টারনেট অফার মেয়াদ ১৪ দিন




রবি নিয়ে এল সবচেয়ে আকর্ষনীয় অফার সেসকল গ্রাহকদের জন্য যারা বিগত ৯০ দিনে কোন ডাটা প্যাক ক্রয় করেন নাই।
 এই সকল গ্রাহক মাত্র ১৮ টাকায় ২ জিবি ইন্টারনেটের আকর্ষনীয় অফারটি ব্যবহার করতে পারবেন! ক্যাম্পেইন শুরু: ১২ এপ্রিল আরও 

পড়ুনঃ রবি বায়োমেট্রিক রি-রেজিস্ট্রেশন অফার! 

৯ টাকায় ১ জিবি ইন্টারনেট ট্যারিফ (ভ্যাট, এসডি এবং এসসি ছাড়া) মেয়াদ চালুকরণ দৈনিক ডাটা বন্টন ২ জিবি ১৮ টাকা ১৪ দিন
 ডায়াল ৮৪৪৪৯০ দিন-১:১৮ এমবি+১৪৫ এমবি দিন-২ থেকে দিন-১৪:দৈনিক ১৪৫ এমবি 

দ্রষ্টব্য: ৩% সম্পূরক শুল্ক , সম্পূরক শুল্কসহ মোট মূল্যের উপর ১৫% ভ্যাট এবং মূল সেবা মুল্যের উপর ১% সারচার্জ প্রযোজ্য। এই ডাটা বান্ডেলের বাইরে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহার-অনুযায়ী-খরচ ০.০১/১০কেবি প্রযোজ্য হবে। কোড ডায়াল করার পর, যোগ্য গ্রাহক ভয়েস নির্দেশনা শুনবেন এবং ১ চেপে কনফার্ম করার পরে ১৮ মেগাবাইট অবিলম্বে বিতরণ করা হবে এবং অন্য ১৪৫ এমবি ১ ঘন্টার মধ্যে প্রস্তুত হবে। কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যবহার-অনুযায়ী-বিল এড়ানোর জন্য, অনুগ্রহ করে ১ বাটন চেপে অন্তত ১ ঘন্টা অপেক্ষা করুন দ্বিতীয় দিন থেকে ১৪ তম দিন পর্যন্ত দৈনিক ভিত্তিতে ১৪৫ এমবি প্যাক দেয়া হবে । একজন গ্রাহক ক্যাম্পেইন চলাকালে একবারই অফারটি পাবেন। আপনার সিমটি অফারের যোগ্য কিনা জানতে ফ্রি ডায়াল করুন ৮৪৪৪৯০ ।


আগুন থেকে দুই শিশুকে বাঁচাল কুকুর II (দেখুন ভিডিওসহ )

আগুন থেকে দুই শিশুকে বাঁচাল কুকুর



তখন রাত। আগুনে পুড়ছে বাড়ি। ধোঁয়ায় আছন্ন আশপাশ। বাড়ির কোনো এক কোণে ভয়ে গুঁটিসুঁটি দুই শিশু। চিৎকার করছে তারা। এরইমধ্যে এসে গেছে উদ্ধারকর্মীরা। কিন্তু আগুন ও ধোঁয়ার তীব্রতা অনেক বেশি। এ অবস্থায় ঘরে ঢুকে কাউকে খুঁজে বের করা দুরুহ। সেই দুরুহ কাজ সহজ করে দিল একটি কুকুর। ওই বাড়ির পোষা কুকুর। যার নাম ম্যাক্স।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের লংউডের অরল্যান্ডো উপশহরে সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জার্মান শেপার্ড জাতের কুকুরটি দুই শিশুর অবস্থান জানতে সাহায্য করে উদ্ধারকর্মীদের। পথ দেখিয়ে উদ্ধারকর্মীদের নিয়ে যায় পুড়তে থাকা ঘরের সেই স্থানে, যেখানে আতঙ্কিত শিশু দুটি অবস্থান করছিল। একই সঙ্গে সেটি দেখিয়ে দেয় তার মালিকের অবস্থানও।
ফ্লোরিডার সেমিনল কাউন্টি শেরিফের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ম্যাক্স নামের পোষা কুকুরটি ৪ বছর ও ২ বছর বয়সি শিশু দুটির অবস্থানে উদ্ধারকর্মীদের নিয়ে যায়। যে কারণে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তারা প্রাণে বেঁচে গেছে।
বাড়িতে আগুন লাগা দেখে প্রতিবেশীরা জানালা ভেঙে ওই দুই শিশুর মা ফিসারকে উদ্ধার করে। কিন্তু তখনো ঘরের মধ্যে আটকা পড়ে ছিল ফিসারের স্বামী ও দুই সন্তান। আগুনের কু-লী ও ধোঁয়ার তীব্রতায় বোঝা যাচ্ছিল না, তারা ঠিক কোথায় আটকা পড়ে আছে। পরে ম্যাক্স উদ্ধারকর্মীদের পথ দেখায় এবং উদ্ধারকর্মীরা তাদের উদ্ধার করে।
উদ্ধারের সময় আগুনে পুড়ে যায় ম্যাক্সের পায়ের কিছু অংশ। তবু মানিবদের না নিয়ে ফেরেনি সেটি। ম্যাক্সের চিকিৎসা চলছে।

তথ্যসূত্র : ইয়াহু নিউজে প্রকাশিত এপির খবর।

ভিডিও গেমস খেলতে ব্যাঘাত ঘটানোয় শিশুকন্যাকে খুন

ভিডিও গেমস খেলতে ব্যাঘাত ঘটানোয় শিশুকন্যাকে খুন




কম্পিউটারে ভিডিও গেমস খেলায় ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য শিশুকন্যাকে খুন করলো বাবা। এই ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে। 
জানা যায়, ঐ খুনী বাবা কম্পিউটারে একমনে গেম খেলছিল। কিন্তু দুই বছরের ছোট্ট শিশুকন্যা বারবারই মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সে খেপে গিয়ে মেয়েকে মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে খুন করে। ঐ যুবকের নাম যুবক অ্যান্টনি মাইকেল স্যান্ডার্স। তার বয়স ৩১ বছর।

গত ডিসেম্বরে টেক্সাসে এলি স্যান্ডার্সকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে অ্যান্টনির বিরুদ্ধে। ওয়াতাউগার পুলিশ এ কথা জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন অ্যান্টনির স্ত্রী একটি অনুষ্ঠানে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন। বাড়িতে এলি ও পাঁচ বছরের ছেলের দেখাশোনার জন্য ছিল অ্যান্টনি। কিন্তু কম্পিউটারে গেমস খেলার সময় এলি বারবার ব্যাঘাত ঘটানোয় মেজাজ সপ্তমে চড়ে যায় তার। একরত্তি মেয়েকে প্রচণ্ড মারধর শুরু করেন। এতেই তার রাগ থামেনি। এলির মুখ চেপে ধরে মাটিতে ফেলে দেন তিনি। অ্যান্টনির বরাবরই কম্পিউটার গেম খেলার নেশা রয়েছে।
টারান্ট কাউন্টির মেডিক্যাল পরীক্ষক চলতি মাসেই জানিয়েছেন, শ্বাসরুদ্ধ হয়েই এলি মারা যায়।

ফেসবুকে ব্লক করা যায় না তাকে!

ফেসবুকে ব্লক করা যায় না তাকে!


ফেসবুক একটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এর ইতিবাচক-নেতিবাচক উভয় দিকই রয়েছে। এতে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রক্ষার পাশাপাশি অহেতুক হয়রানি বা বিরক্তির ঘটনাও ঘটছে। কখনো কখনো বিরক্তি বা ঝামেলা এড়াতে বিরক্তিকর ব্যক্তিকে ব্লক করে দিতে হয়।



ফেসবুকে যে কেউ আপনাকে বিরক্ত করতে পারে। মন্তব্যে জাতি বা লিঙ্গগত বৈষম্য ব্যবহার করতে পারে। এসব কারণে তাকে আপনি সহজেই ব্লক করে দিতে পারেন। কখনো কখনো বাধ্য হয়েই এমনটা করতে হয়।
কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে, ফেসবুকে মাত্র একটা প্রোফাইল আছে যাকে আপনি কখনোই ব্লক করতে পারবেন না। তার মানে সে যাচ্ছেতাই করতে পারে। আপনার ফেসবুক পোস্টে যা খুশি লিখতে পারে। এমনকি বিরক্তও করতে পারে।

একথা শুনে আপনি হয়তো ভাবছেন, কে সেই ক্ষমতাধর ব্যক্তি? প্রশ্ন রীতিমত মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে তাই না? কে হতে পারে? একটু ভাবুন তো। না, মিলছে না? তাহলে পরিষ্কার করেই বলি, তাঁর পরিচয় দিলে আপনি তাকে আর ব্লক করতে চাইবেন না। তাছাড়া তিনি আপনাকে বিরক্ত করার সময়ও পান না।
তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ। জুকারবার্গের ফেসবুক পেজে গিয়ে ব্লক করার চেষ্টা করলে লেখা আসবে, ‘This profile can’t be blocked for now’- এই প্রোফাইল এখন ব্লক করা সম্ভব নয়।

পুলিশ সদস্যদের এ কেমন দায়িত্ববোধ!

             পুলিশ সদস্যদের এ কেমন দায়িত্ববোধ!



ছবি- সৈকত মজুমদার-এর ফেসবুক



'কি হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সদস্য জানালেন 'আমরা ১৩ জন পুলিশ সদস্য উদ্যান টোকাইমুক্ত করার চেষ্টা করছি। কিন্তু এই টোকাইদের কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এদের নিয়ন্ত্রণ করতে করতে করতে পাগল হয়ে যাচ্ছি। এখন মাইরই এদের একমাত্র ওষুধ।' আজ চন্দ্রিমা উদ্যানের ক্রিসেন্ট লেক সংলগ্ন প্রাচীরের নিকট এক পথশিশুকে ফেলে এভাবেই মারছিলেন একজন পুলিশ সদস্য। আর বাকি সদস্যরা পাশে বসে দৃশ্যটি উপভোগ করছিলেন। ঘটনার সময় এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেন সৈকত মজুমদার নামের একজন ফটোগ্রাফার। তিনি কৌশলে কিছু ছবি তোলার পরে পুলিশ সদস্যদের নিকট ঘটনা কি জানতে চাইলে এসব উত্তর দেন ওই পুলিশ সদস্য। মঙ্গলবার বিকেলে ছবিগুলো সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে পোস্ট করার পর ভাইরাল হয়ে যায়। পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালনে প্রশ্ন তুলে এহেন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণেরা।  শিশু নির্যাতনের অভিযোগে এইসব পুলিশ সদস্যদের শাস্তি চেয়েছেন অনেকেই। একজন ফেসবুক ইউজার মন্তব্য করেছেন, পুলিশ সদস্যরাই যদি এমন করে তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?


দেখুন টিয়া কিভাবে কথা বলে (ভিডিওসহ)

দেখুন টিয়া কিভাবে কথা বলে (ভিডিওসহ) 
দেখুন টিয়া কিভাবে কথা বলে (ভিডিওসহ) 



দেখুন টিয়া কিভাবে কথা বলে (ভিডিওসহ) 




দেখুন টিয়া কিভাবে কথা বলে (ভিডিওসহ) 
দেখুন টিয়া কিভাবে কথা বলে (ভিডিওসহ) 
দেখুন টিয়া কিভাবে কথা বলে (ভিডিওসহ) 


Monetize your website traffic with yX Media

দেখুন টিয়া কিভাবে কথা বলে (ভিডিওসহ) 
দেখুন টিয়া কিভাবে কথা বলে (ভিডিওসহ) 
দেখুন টিয়া কিভাবে কথা বলে (ভিডিওসহ) 



Tuesday, April 26, 2016

দিনের আলোয় মসজিদে মানুষের বেশে হাজির হলো জিন ! (ভিডিও সহ)

দিনের আলোয় মসজিদে মানুষের বেশে হাজির হলো জিন ! (ভিডিও সহ)


পবিত্র কুরআনুল কারিম অনুসারে জিন জাতি মানুষের মতো আল্লাহ তা’য়ালার তৈরি বিশেষ একটি জাতি যারা পৃথিবীতে মানব আগমনের বহু আগ থেকেই অবস্থান করছিলো এবং এখনো তাদের অস্তিত্ব রয়েছে। তবে মানুষের দৃষ্টি সীমার বাইরে তারা। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে জিনরা মানুষকে দেখতে পায়। জিনেরা বিশেষ কিছু ক্ষমতার অধিকারী হয়। জিনদের মধ্যেও মুসলিম এবং কাফির ভেদাভেদ রয়েছে। তারাও মসজিদে নামাজ পড়তে আসে। তাদেরও সমাজ 


জীবন রয়েছে। তাদের আয়ূ মানুষের চেয়ে অনেক বেশি হয়। উদাহরনস্বরূপ বলা যায়, জিনেরা ৩০০ বছর বয়সে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। ইমাম ইবনে তাইমিয়ার মতে জিন জাতি তাদের অবয়ব যেকোন অবস্থানে এবং প্রয়োজনে পরিবর্তন করতে পারে।
Monetize your website traffic with yX Media
ইসলাম ধর্ম অনুসারে জিন জাতি আল্লাহর এক বিশেষ সৃষ্টি। পবিত্র কুরআনের ৭২তম সুরা আল জ্বিন এ শুধু জিনদের বিয়ষ নিয়ে কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও পবিত্র কুরআনের সূরা আন নাস এর শেষ অংশে জিন জাতির বিশেষ উল্লেখ আছে। পবিত্র কুরআনে আরো বলা আছে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে সমগ্র জিন এবং মানবজাতির নবী হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। নবী হযরত সুলায়মান (আঃ) এর জিনদের নিয়ে গঠিত সৈন্যবাহিনী ছিলো বলে পবিত্র কুরআনে উল্লেখ রয়েছে। ইসলাম ধর্মে আরো বলা হয়ছে “ইবলিশ” তথা শয়তান প্রকৃতপক্ষে প্রভু ভক্ত জিন ছিল। ইসলাম ধর্মের মতে, ইবলিশ শয়তান হচ্ছে দুষ্ট জিনদের নেতা। ইবলিশ শয়তান ছিল প্রথম জিন যে আল্লাহর কথার অমান্য করেছিল। পবিত্র কুরআনে উল্লেখ আছে যে, ইবলিশ শয়তান এক সময় আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা ছিল । কিন্তু আল্লাহ যখন হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করলেন, তখন হিংসা ও অহংকারের বশবর্তী হয়ে ইবলিশ আল্লাহর হুকুম অমান্য করে। এ কারণে ইবলিশ কে বেহেশত থেকে বিতাড়িত করা হয় এবং এরপর থেকে তার নামকরণ হয় শয়তান। ইসলাম পূর্ব আরব উপকথা গুলোতে জ্বিন সদৃশ সত্ত্বার উল্লেখ আছে।

উল্লেখ্য যে, আরব্য রজনীর কাহিনীর মতো সবসময় জিন অসাধ্য সাধন করতে পারে না। কেননা ঝড়-বাদলের দিনে জিনরা চলতে পারে না। কারণ তারা আগুনের তৈরি বিধায় বৃষ্টির সময় আয়োনাজাইশেন ও বজ্রপাতের তীব্র আলোক ছটায় তাদের ক্ষতি হয়ে থাকে এবং কোন ঘরে যদি নির্দিষ্ট কিছু দোয়া-কালাম ও কাঁচা লেবু থাকে, তাহলে ঐ ঘরে জিন প্রবেশ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। আর একটি কথা মানুষ মাটি দিয়ে সৃষ্টি হলেও, শেষ পর্যন্ত এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। কারণ মানুষ মূলত মাটি, পানি, বায়ু ও অগ্নির সংমিশ্রণ। আর তাই জিন আগুনের শিখা দিয়ে পয়দা হলেও তাদের দেহে জলীয় পদার্থের সমাবেশ লক্ষণীয়। এর স্বপক্ষে যুক্তি হলো: রসুল (স.) একদা উল্লেখ করেছিলেন যে, শয়তান বলে একটি জিন একদা নামাজের সময় তাঁর সাথে মোকাবিলা করতে এলে তিনি ঐ জিনকে গলা টিপে ধরলে, সেইক্ষণে জ্বিনের থুথুতে শীতলতা অনুভব করেছিলেন।[সুরা সাদ ৩৮:৩৫] এতে প্রতীয়মান হয় যে, জিন যদি পুরোপুরি দাহ্য হতো, তাহলে ঠাণ্ডা থুথুর থাকার কথা নয়। এদিকে জিন তিন প্রকারের আওতায় বিদ্যমান, প্রথমত. জমিনের সাপ, বিচ্ছু, পোকা-মাকড়, ইত্যাদি; দ্বিতীয়ত. শূন্যে অবস্থান করে এবং শেষত সেই প্রকারের জিন, যাদের রয়েছে পরকালে হিসাব।


ফেসবুকে ভাইরাল ‘গৃহবধুকে নির্মম নির্যাতনের নগ্ন ভিডিও (১৮+ ভিডিও )

ফেসবুকে ভাইরাল ‘গৃহবধুকে নির্মম নির্যাতনের নগ্ন ভিডিও (১৮+ ভিডিও )


প্রকাশ্যে এক গৃহবধূকে নগ্ন করে অমানবিক অত্যাচারের ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে। শুধু দেশেই নয় এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠেছেন দেশের বাইরে থাকা প্রবাসীরাও। দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন সংস্করণেও উঠে আসে এই ঘটনার বর্ণনা । মুহূর্তেই বন্ধ থাকা ফেসবুকেও উঠে ঝড় । গত কয়েকদিন এই ঘটনা নিয়ে ফেসবুকের হোমপেজ জুড়েই চলছিলো শত শত প্রতিবাদী পোষ্ট 



অথচ পুরো ভিডিওটির বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন !
ভিডিওটির বিষয়বস্তু নিয়ে সবার সমবেদনা এবং প্রতিবাদ অবশ্যই আমাদের কাম্য। পৃথিবীর যে গোলার্ধেই এমন ন্যাক্যারজনক নির্যাতন হবে এভাবেই সরব হবে সচেতন মানুষেরা এটাই প্রত্যাশা । কিন্তু নেহায়েত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যখন প্রায় তিনবছর আগের একটি ভিডিওর অংশবিশেষ আমাদের দেশের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে তখন ?

Monetize your website traffic with yX Media
হয়তো বুঝে নিতে বাকি থাকেনা আর কারো যে নিতান্তই অসৎ উদ্দেশ্যে এই ভিডিও প্রচার করছে কেও । উপরন্তু আরও বেশি অবাক হতে হয় যখন সত্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ঐ নারীর সম্ভ্রম হানির ঘটনা আমাদের দেশেরই নয় !
গতকদিন ধরেই সময়ের কণ্ঠস্বর ফ্যানপেজের ইনবক্সে এবং অফিসের নাম্বারে টেলিফোন করে কমপক্ষে জনা বিশেক পাঠকের অনুরোধ ছিলো , ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যাওয়া গৃহবধুর নির্মম নির্যাতন নিয়ে আমরা কেন প্রচার করছিনা ? প্রায় সবারই প্রবল বিশ্বাস ছিলো সময়ের কণ্ঠস্বরের সাথে যুক্ত ৫৫ লাখেরও বেশি ফেসবুক ব্যাবহারকারী চোখে এই ঘটনাটি পড়লে অবশ্যই বেরিয়ে আসতে পারে প্রকৃত অপরাধী। ঘটনাক্রমে হাজারো -লাখো ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীর মতই বিভ্রান্তির শিকার হয়েছিলেন আমাদের সম্মানিত পাঠকেরাও। গতরাতেই আমরা এই ঘটনা সম্পর্কে কারো কোন রকম ধারনা থাকলে জানাবার অনুরোধ সম্বলিত একটি পোস্ট করি ।
এরপর রাতভর অনুসন্ধানী চোখে প্রকৃত ঘটনা বের করবার প্রয়াস চালাতেই বেরিয়ে এলো ‘ ভাইরাল হয়ে পড়া ভিডিওটি স্রেফ বিভ্রান্তিকর’
নেপথ্য ঘটনা
২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের কোন এক তারিখে এই অমানবিক নির্যাতনের ঘটনা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ঘটেছিলো । ঐ নির্যাতিতা মহিলার ঘটনা নিয়ে সেসময় ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের অনেক বড় রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবেও দাড় হয়ে পরে । শুরু হয় রাজনৈতিক কাঁদা ছোড়াছুড়ি। অমানবিক ও ন্যাক্যারজনক সেই ঘটনায় সেসময় ৭ জন অভিযুক্ত গ্রেফতারও হয়েছিলেন । ততকালীন বিরোধী দল সিপিএম সেসময় পুরো ঘটনার দাঁয় চাপিয়ে দেয় কংগ্রেসের উপর ।
প্রায় তিনবছর পর ত্রিপুরা রাজ্যের সেই আলোচিত ঘটনাটির ভিডিও’র অংশবিশেষ বাংলাদেশের কোন একটি স্থানের হতে পারে সন্দেহে স্থান কাল পাত্র কিছুই উল্লেখ না করে দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হল ।উপরন্তু এই ঘটনার স্থান হিসেবে দাঁয় চাপিয়ে ” নো ‘ আদ্যক্ষরের একটি জেলার মানুষদের ঘারে দাঁয় চাপিয়ে ইতমধ্যে ফেসবুক জুড়ে কয়েক হাজার প্রতিবাদী পোষ্ট হয়ে গেলো ! এই বিভ্রান্তির দাঁয় কার ?
Monetize your website traffic with yX Media
গৃহবধূকে নগ্ন করে ভিডিও ধারণ করে অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার মতন চরম এই অমানবিক কর্মকাণ্ডের হোতাদের খুঁজে বের করে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভাও করেছে রিয়াদে, সৌদি আরব প্রবাসী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম ।



Monetize your website traffic with yX Media

ট্যাক্সি ভাড়াও ছিল না শচীনের!

    ট্যাক্সি ভাড়াও ছিল না শচীনের!


বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার। অবসর নেওয়ার আগে ক্রিকেট দুনিয়ায় যেমন খ্যাতির শীর্ষে উঠেছিলেন, তেমনি উপার্জনও করেছিলেন বিপুল অর্থ।



আর সেই শচীনই কি না অর্থের অভাবে একটা ট্যাক্সিক্যাব পর্যন্ত ভাড়া করতে পারেননি। ঘটনাটি ঘটে ১২ বছর বয়সী শচীনের জীবনে।
ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ ডটকমের খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার ভারতের মুম্বাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে শৈশবের স্মৃতিচারণা করেন শচীন।
এই ক্রিকেট কিংবদন্তি বলেন, ‘আমার বয়স মাত্র ১২ বছর এবং সে সময় মুম্বাই অনূর্ধ্ব-১৫ দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাই। আমি খুব শিহরিত হয়েছিলাম। কিছু অর্থ জোগাড় করে পুনেতে তিনটি ম্যাচ খেলতে যাই। সেখানে বৃষ্টি হচ্ছিল। আমি আশা করছিলাম, বৃষ্টি থামবে এবং আমরা ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাব। সুযোগ পাওয়ার পর আমি মাত্র ৪ রান করে রানআউট হয়ে যাই। আমার বয়স ছিল ১২ আর ওই সময়ে আমি সীমিত পেস মোকাবিলা করতে পারতাম। আমি হতাশ হয়ে সাজঘরে ফিরে কাঁদতে শুরু করলাম। এরপর আর ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাইনি।’
Monetize your website traffic with yX Media
‘কারণ বৃষ্টি ঝরছিল। ফলে সারা দিন বাইরে বেরিয়ে সিনেমা দেখা, খাওয়া-দাওয়া ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার ছিল না। কীভাবে সবার সঙ্গে তাল রেখে অর্থ খরচ কম করতে হয়, তা আমার জানা ছিল না। আমি সব অর্থ শেষ করে ফেলি। যখন ট্রেনে করে মুম্বাই আসি, তখন এক পয়সাও ছিল না আমার কাছে। আমার কাছে দুটি ব্যাগ ছিল। আমরা দাদার স্টেশনে নেমেছিলাম। পকেটে ছিল না অর্থ। তাই দাদার থেকে শিবাজি পার্কে আমাকে হেঁটে যেতে হয়েছিল।’
শচীন বলেন, বর্তমানে ব্যাংকিং অবস্থা অনেক উন্নত। ওই সময়ে বর্তমানের মতো অবস্থা থাকলে তাঁকে বিপাকে পড়তে হতো না। তিনি বলেন, ‘ভাবতে পারেন, আমার হাতে যদি একটা ফোন থাকত, আর আমি যদি একটা এসএমএস পাঠাতাম, তাহলে আমার বাবা অথবা মা আমার অ্যাকাউন্টে কিছু অর্থ পাঠাতেন এবং এর মাধ্যমে আমি ক্যাবে চড়তে পারতাম।’

পাওনা টাকা চাইতে মানা !!!!

         পাওনা টাকা চাইতে মানা




শাজাহানপুরে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতির মারপিটে দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছেন মোমিনুল ইসলাম (৩৬) নামে এক যুবক। বর্তমানে তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কাঁচের বোতলের আঘাতে মোমিনুল বাম চোখের দৃষ্টি শক্তি হারাতে বসেছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ ঘটনায় শাজাহানপুর উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন সাহান ও তার ম্যানেজার জাকির হোসেনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোমিনুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি বগুড়ার বিভিন্ন ইট ভাটায় লাল মাটি সরবরাহ করে আসছেন। শাজাহানপুর উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন সাহানের মালিকানাধীন এসএসবি ব্রিকস নামের ইট ভাটাতেও তিনি মাটি সরবরাহ করে থাকেন। সাহানের কাছে মাটি সরবরাহের   সাড়ে চার লাখ টাকা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রয়েছে।
Monetize your website traffic with yX Media
তিনি আরও জানান, গত ২৩ এপ্রিল বিকেল ৪টার দিকে তিনি পাওনা টাকা চাইতে গেলে মালিক ও তার ম্যানেজারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাত ৮টার দিকে পাওনা টাকা নিয়ে আলোচনা করার জন্য জনৈক রিপনের মাধ্যমে মোমিনুলকে বগুড়া শহরের সাতমাথায় এলাকায় ডেকে আনেন সাহান। সেখানে আসলে সাহান ও তার ম্যানেজার জাকির এবং রিপনসহ ৭-৮ জন তাকে মারধর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে সেভেন আপের কাঁচের বোতল দিয়ে তার মাথায় ও চোখে আঘাত করলে তিনি গুরুতর জখম হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. পল্লব কুমার সেনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন মোমিনুল। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কাঁচের বোতলের আঘাতের তার বাম চোখে গুরুতর জখম হয়েছে। ওই চোখে মোমিনুল আর দৃষ্টি শক্তি ফিরে পাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এ ঘটনায় মোমিনুলের ছোট ভাই জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
জহুরুল ইসলাম জানান, আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রধান আসামি ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি হওয়ায় তিনি বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার করছেন এবং হুমকী দিচ্ছেন।

উৎসবে কবর থেকে উঠে আসে মৃতরাও! (ভিডিওসহ)

           উৎসবে কবর থেকে উঠে আসে মৃতরাও!  (ভিডিওসহ)

প্রতিবছর উৎসবে শুধুমাত্র নিজেদের জন্য নতুন জামাকাপড় কেনা নয়। কিনতে হবে পরলোকে চলে যাওয়া পূর্ব পুরুষদের জন্যেও। তারপর কবর থেকে তুলে পুরনো পোশাক খুলে পরিয়ে দিতে হবে নতুন পোশাক। সেইসঙ্গে পরিষ্কার করে দিতে হবে নর কঙ্কালটি।



Monetize your website traffic with yX Media
ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় এক শতাব্দী ধরে চলে আসছে এই বিশেষ উৎসব। ওই দেশের দক্ষিণ সুলাওয়াসির তোরজা নামের একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মধ্যে চালু রয়েছে এই বিশেষ প্রথা। বার্ষিক এই উৎসবের নাম ‘মেনে’। এই উৎসবে শুধুমাত্র জামাকাপড় পরিয়েই ক্ষান্ত থাকেন না তোরাজ্যনিসরা। পূর্বপুরুষদের ওই কঙ্কালটির চোখে পরানো হয় সুন্দর ‘সানগ্লাস’।


ই রীতিটি চালু হয়েছিল তোরজা সম্প্রদায়ের নেতাদের স্মরণ রাখতে। পরবর্তী ক্ষেত্রে এটিই ছড়িয়ে যায় সমগ্র সমাজের মধ্যে। যা একবিংশ শতকেও চালু রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। 




  • বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/মাঝি 



ছাগলের পেটে মানুষের বাচ্চা! (ভিডিওসহ)

       ছাগলের পেটে মানুষের বাচ্চা! (ভিডিওসহ)
ছাগলের বাচ্চা তো ছাগলই হয়। কিন্তু ভিন্ন ঘটনা দেখা গেল মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যে। সম্প্রতি ওই অঞ্চলে এক ছাগলের পেট থেকে যে বাচ্চাটি জন্ম হয়েছে, তা দেখতে অনেকটা মানবশিশুর মত। যদিও এটি আর জীবিত নেই। মানুষ সদৃশ্য ওই ছাগলছানাটিকে দেশের পশু দপ্তরকে দান করেছেন এর মালিক ইব্রাহিম বশির।




এশিয়ান করেসপন্ডেন্ট’র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৬৩ বছরের ইব্রাহিম জোহর রাজ্যের কোটা তিঙ্গি জেলার ফেলদা এলাকার বাসিন্দা। গত শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে তার পালিত মাদী ছাগলটির ঘরে ওই বাচ্চাটির জন্ম হয়। কিন্তু নবজাতককে দেখে তিনি তো অবাক! এ সম্পর্কে স্থানীয় এক পত্রিকাকে ইব্রাহিম বলেছেন, ‘প্রথমে অদ্ভূত ওই ছাগলের বাচ্চাটিকে দেখে আমি থ হয়ে যাই। এর মুখ, নাক, ছোট ছোট চারটি পা এমনকি দেহের গঠনটি পর্যন্ত একটি মানব শিশুর মত। যদিও ওর গোটা শরীর হালকা বাদামী লোমে ঢাকা ছিল।’ এছাড়া এটির দেহের সঙ্গে কোনো নাড়িও সংযুক্ত ছিল না। তিনি গোয়ালঘরে যাওয়ার আগেই বাচ্চাটি মারা গিয়েছিল। তবে বাচ্চটি কি জন্মের আগেই মারা গেছে, না মৃত অবস্থায় এর জন্ম হয়েছে, সে বিষয়টিও স্পষ্ট নয়। তিনি মৃত ছাগলছানাটিকে বরফ দিয়ে একটি তাপ নিরোধক বাক্সে রেখে দেন। অদ্ভূত ওই ছাগলের বাচ্চাটি দেখতে তার বাড়িতে প্রচুর লোকজন এসে ভিড় জমিয়েছিল। কেউ কেউ বিপুল অর্থের বিনিময়ে মৃত ছাগলছানাটি কিনেও নিতে চেয়েছিল। কিন্তু ইব্রাহিম তাদের প্রস্তাবে রাজি হননি। তিনি রোববার স্থানীয় পশুবিভাগে এটি দান করেছেন।
Monetize your website traffic with yX Media



  • বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/মাঝি


স্ত্রীর কথায় রেগে গিয়ে মাকে পিটিয়ে হত্যা

স্ত্রীর কথায় রেগে গিয়ে মাকে পিটিয়ে হত্যা


স্ত্রীর কথায় রেগে গিয়ে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মা সখিনা খাতুনকে (৫৬) হত্যা করেছেন যশোরের মনিরামপুরের শ্যামকুড় গ্রামের সরদার পাড়ার শাহিন হোসেন নামে এক যুবক। এসময় বাবা বজলুর রহমানকেও আহত করে ওই যুবক। সোমবার দুপুরে নিজ বাড়িতে মাথায় আঘাত করার পর বৃদ্ধা মা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা গেছেন। সখিনা খাতুন উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের সরদারপাড়ার বজলুর রহমানের স্ত্রী।



প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে শাহিনের স্ত্রী হাফিজা খাতুনের সঙ্গে মা সখিনা খাতুনের ঝগড়া হয়। পরে দুপুরের দিকে শাহিন মাঠ থেকে বাড়ি ফেরেন। এসময় স্ত্রী তার মার বিষয়ে বাড়িয়ে বাড়িয়ে নালিশ করেন। এতে শাহিন ক্ষিপ্ত হয়ে ছুটে গিয়ে মায়ের মাথায় বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। আর পিতা বজলুর রহমানকেও মারপিট করেন। পরে  মা সখিনা খাতুনকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে রাতে খুলনা মেডিকেলে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাহেরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনার পর শাহিন পালাতক রয়েছেন। মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।


ব্রেইল প্রযুক্তিতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর কুরআন তিলাওয়াত (ভিডিও)

ব্রেইল প্রযুক্তিতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর কুরআন তিলাওয়াত (ভিডিও)




প্রযুক্তি আল্লাহর অনুগ্রহের একটি, যা আল্লাহর দেয়া মেধার বহিঃপ্রকাশ। এ প্রযুক্তির কল্যাণে আবিষ্কৃত হয়েছে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতির ইলেক্ট্রনিক্স সংযোজন।
যা ব্যবহার করে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা সহজ ও সাবলিলভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবে। এমনই একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে ইলমফিড ডটকম (www.ilmfeed.com)।
প্রযুক্তির কল্যাণে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা এখন সহজে কুরআন তিলাওয়াত করতে সক্ষম। যা সহজে বহনযোগ্য এবং কার্যকরী। ইতিপূর্বে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যম ছিল কাগজের ব্রেইল পদ্ধতির বিশাল আকৃতির প্রকাশনা। যা বহনেও ছিল কষ্টকর। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা কোথাও গেলে তা বহন করতে পারতো না।


Monetize your website traffic with yX Media
কুরআনুল কারিমের ইলেক্ট্রনিক ব্রেইল মেশিন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য সহজে বহনযোগ্য। যা তাদের দীর্ঘ দিনের চাহিদা পূরণে অসম্ভব ভূমিকা রাখবে।
ইলেক্ট্রনিক ব্রেইল মেশিন ব্যবহারে এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর চমৎকার কুরআন তিলাওয়াতের ভিডিও দেখুন-






শিক্ষক হত্যার প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীদের সমাবেশ

শিক্ষক হত্যার প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীদের সমাবেশ






রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালনের পর বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ চত্বরে সমাবেশ করছেন রাবি শিক্ষার্থীরা।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টা থেকে এক ঘণ্টা তারা এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। উল্লেখ্য, শনিবার সকাল ৮টার দিকে রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাসা থেকে ৫০ গজ দূরে অধ্যাপক রেজাউল করীমকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করতে যা খাবেন

ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করতে যা খাবেন




দেহের হাড় ও দাঁতের প্রধান উপাদান ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম শরীরে শক্তি যোগায় এবং হাড় গঠনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে।
পরিমাণমতো এটি না পেলে শরীর দুর্বল হয়ে হাড় ভঙ্গুরতার মতো মারাত্মক রোগের সৃষ্টি হয়। এর অভাবে শরীরে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। মাংসপেশী সংকুচিত হওয়া, হাড়ে ভঙ্গুরতা, খাদ্য গ্রহণে অরুচি, হার্টে সমস্যার সৃষ্টি হওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, কোলন ক্যান্সার ইত্যাদি আরও নানা রকম সমস্যা বাসা বাঁধে শরীরে। চলুন জেনে নিই, শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করতে কোন খাবারগুলো খেতে হবে-
পনির একটি উচ্চ ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য। পনিরের ক্যালসিয়াম হাড়ের ঘনত্ব ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং ওস্টিয়োপোরোসিস থেকে রক্ষা করে। সঠিক পরিমাণে পনির গ্রহণে, এটি প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস সরবরাহ করে তাই এসিড দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ রোগীর চিকিৎসায় এটি খুবই উপকারী।
বিভিন্ন রকম সয়া খাদ্যসমূহ যেমন, সয়া দুধ, সয়া আটা, টোফু ইত্যাদি যা ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, ফাইবার ইত্যাদি আরো বিভিন্ন রকম সুস্বাস্থ্যের জন্য দরকারি উপাদানে পরিপূর্ণ। সয়াতে ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি প্রায় দুধের সমান, এতে রয়েছে ফাইটোএস্ট্রোজেন যা হাড়কে শক্তিশালীকরণে অনেক বেশি সাহায্য করে।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য হলো দুধ। এটি ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদানে পরিপূর্ণ, যা আমাদের সুস্থ হাড় ও দাঁত গঠনে অপরিহার্য। ছোটবেলা থেকে সারাজীবন নিয়মত দুধ পানের অভ্যাস হাড়কে করবে অধিক শক্তিশালী, এতে ওস্টেয়োপোরোসিস হাড় ভঙ্গুর হওয়ার ভয় অনেকাংশে কমে যাবে।
ক্যালসিয়ামের উৎস হিসেবে কাজ করে দই। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন। ৮ আউন্স দইয়ে থাকে ৪৪০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম।
তিল একটি খনিজ পদার্থের অন্যতম উৎস, এতে আছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফোরাস, সেলেনিয়াম ও জিঙ্ক। এটি হরমোন উৎপাদন ও লোহিত রক্ত কনিকা উৎপাদনে সাহায্য করে। শালগম ও তিল দুটিই মজবুত দাঁত গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ঢেঁড়স একটি গ্রীষ্মকালীন সবজি, এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, ভাইটামিন বি, এ, সি।
শালগম ক্যালসিয়াম ও পটাসিয়ামের উত্তম একটি উৎস। এটি হাড়ের নমনীয়তা, অস্টেয়োপরোসিস, ফ্রাকচার ইত্যাদি রোধ করতে সাহায্য করে এবং পেশীতে শক্তি যোগায় ও কর্মদক্ষতা বাড়ায়। এক কাপ শালগমে থাকে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম যা একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের এক-পঞ্চমাংশ ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে।
কমলা একটি সাইট্রাস ফল যাতে আছে যথেষ্ট পরিমানে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম।
প্রায় সব ধরনের বাদামে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, ভাইটামিন, পটাসিয়াম, আয়রন ও খনিজ পদার্থ। এটি দেহের জন্য অতি উপকারি যা শক্ত হাড় ও দাঁত গঠনে সাহায্য করে।

আমাকে ঝামেলায় ফেলার মতো ব্যাটসম্যান বিশ্বে নেই : মুস্তাফিজ

আমাকে ঝামেলায় ফেলার মতো ব্যাটসম্যান বিশ্বে নেই : মুস্তাফিজ




মুস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, ক্রিকেটের নিজস্ব ভাষা আছে। সেটা ভালো বোঝেন বলে আইপিএলে ভাষাগত সমস্যা তাকে কাবু করতে পারছে না।
আইপিএলের সেরা বোলার বলা হচ্ছে তাকে। সবচেয়ে আলোচিত ক্রিকেটার এই ২০ বছরের বাঁ হাতি পেসার। কাটার, স্লোয়ার, ইয়র্কার, গতি বৈচিত্র্যে বাজিমাত করেছেন। মুখে মুখে তার প্রশংসা। ৫ ম্যাচে ৫.৭৫ গড়ে ৭ উইকেট মুস্তাফিজের শিকার। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ৯ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। এবি ডি ভিলিয়ার্স, শেন ওয়াটসন, আন্দ্রে রাসেলের মতো বাঘা বাগা ব্যাটসম্যানকে অনায়াসে শিকার করেছেন। সব প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের ঘুম হারাম করে দিয়েছেন। আর টাইমস অব ইন্ডিয়ার কাছে সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের বিস্ময় বোলার মুস্তাফিজ বলেছেন, তাকে ঝামেলায় ফেলার মতো ব্যাটসম্যান বিশ্বে নেই!
সেই সাক্ষাৎকার নিউজ অব বাংলাদেশ ডটনেটের পাঠকদের জন্য অনুবাদ করে দেওয়া হলো।
প্রশ্ন : আপনি এতটা সফল হবেন তা আগে কেউ ভাবতে পারেনি। আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে এত ভালো করছেন কিভাবে?
মুস্তাফিজ : শীর্ষ পর্যায়ে ভালো করার ইচ্ছা ও বিশ্বাস থেকে এটা হয়েছে মনে হয়। সুযোগ পেলে আমাকে তা কাজে লাগাতে হবে জানতাম। আইপিএলে একটা দাগ রেখে যেতে চেয়েছি। কঠোর পরিশ্রম করছি। লোকে প্রশংসা করছে বলে ভালোই লাগছে।
প্রশ্ন : আপনার অফ কাটারের রহস্য কি? কিভাবে এটা এত পারফেক্ট হয়?
মুস্তাফিজ : এর রহস্যটা যে কি আমি নিজেও ঠিক জানি না। হয়তো এটা সহজাতভাবে পেয়েছি। আমি যখন বড় হচ্ছি তখন আমার একজন কোচ এটা করতে বলেছিলেন। আমি চেষ্টা করেছিলাম। দেখলাম ভালো হচ্ছে। সেই থেকে এটা নিয়ে কাজ করছি। ফল দেখাই যাচ্ছে।
প্রশ্ন : আপনার অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার বললেন, তেমন ইংরেজি বলতে পারেন না বলে আপনার সাথে যোগাযোগ তৈরি করা কঠিন। অধিনায়কের সাথে তেমন কথা না বলেও এতটা ভালো কিভাবে করেন?
মুস্তাফিজ : এটা সত্যি যে ইংলিশ কিংবা হিন্দি আমি তেমন ভালো বুঝি না। কিন্তু ক্রিকেটের তো নিজস্ব ভাষা আছে। তাই আমার কাছে প্রত্যাশাটা আমি বুঝি। যেগুলো ভালো পারি সেগুলো করি। পাশাপাশি অধিনায়ক যা চান তা বোঝার চেষ্টা করি। এখন পর্যন্ত সব ভালোই যাচ্ছে।
প্রশ্ন : বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উইকেট পেয়েছেন। আপনার নিজের পছন্দ কোনটা? কোনো ব্যাটসম্যানের কারণে কি ঘুম হারাম হয়েছে আপনার?
মুস্তাফিজ : আলাদা করে পছন্দের কোনোটি নেই। প্রত্যেক উইকেটই আমাকে আনন্দ দেয়। আমাকে ঝামেলায় ফেলার মতো ব্যাটসম্যান বিশ্বে নেই। জানি, সামর্থ্যের সেরাটা দিতে পারলে প্রত্যেককে থামিয়ে দিতে পারবো।
প্রশ্ন : তার মানে বলতে চান, বিরাট কোহলিও আপনাকে দুশ্চিন্তায় ফেলতে পারেন না? কিংবা এম এস ধোনি, যিনি আপনাকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুর বিখ্যাত ম্যাচে স্প্রিন্টে হারিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে বিদায় করে দিয়েছিলেন!
মুস্তাফিজ : তারা সবাই গ্রেট খেলোয়াড়। কিন্তু আমি আমার শক্তি কাজে লাগাতে চাই। পরিষ্কার করে বলি, বেঙ্গালুরুর ওই ম্যাচ পরের দিনই আমার ভাবনা থেকে চলে গেছে। ক্রিকেটে যা হয়ে গেছে তা নিয়ে হাপিত্যেশ করলে চলে না। জানি না ধোনির দলের বিপক্ষে (রাইজিং পুনে সুপারজায়ন্টস) আমাদের ম্যাচ কবে। কিন্তু যখন খেলবো তখন সেরাটাই দেবো।
প্রশ্ন : ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে অসাধারণ আপনি। টেস্ট কি আপনার পরের লক্ষ্য? ভারতের বিপক্ষের সিরিজ নিয়ে কি ভাবছেন?
মুস্তাফিজ : একটা করে সিঁড়ি পার হওয়া ভালো। তবে হ্যাঁ, টেস্টেও ভালো করতে চাই আমি। এটা সব ক্রিকেটারেরই সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। আর ভারতের বিপক্ষের সিরিজের কথা বলছেন? সেটা তো অনেক দূরে। সিরিজে আমাকে নেওয়া হবে কি না তাই তো জানি না। তবে সুযোগ পেলে সেরাটাই দেবো।
প্রশ্ন : টেস্টে সাফল্য পেতে আপনার গতি আরেকটু বাড়ানো দরকার আছে বলে মনে করেন কি?
মুস্তাফিজ : গতি বাড়াতে চাইলে নিজের শরীরের কথাও তো মাথায় রাখতে হবে। আমার মনে হয়, যে গতিতে বল করি সেটা ঠিক আছে। আমি ইনজুরিতেও পড়েছি। যদিও জানি এটা ক্রিকেটারদের জীবনের অংশ। ফিট থাকার চেষ্টা করে যেতে হবে।

Monday, April 25, 2016

চট্টগ্রামের স্কুল ভবনগুলো সর্বাধিক ভূমিকম্প ঝুঁকিতে

          চট্টগ্রামের স্কুল ভবনগুলো সর্বাধিক ভূমিকম্প ঝুঁকিতে

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে স্কুল ভবনগুলো সর্বাধিক ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে। রিখটার স্কেলে ৭ থেকে ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তলিয়ে যাবে নগরীর ৭০ শতাংশ উচুঁ ভবন। এর মধ্যে স্কুল ভবনই সবচেয়ে বেশি। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট)’র এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্কুল পড়ুয়া শিশুরাই বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।




চুয়েটের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপরিকল্পিত ও ত্রুটিপূর্ণ নগরায়নে মাঝারি থেকে শক্তিশালী ভূমিকম্প হলে নগরীর অধিকাংশ ভবনই টিকবে না। অথচ বৃহত্তর চট্টগ্রামে রিখটার স্কেলে ৭ বা ততোধিক মাত্রার শক্তিশালী ভূ-কম্পনের আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্বজুড়ে একের পর এক ভূ-কম্পনের ঘটনা ঘটছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঝে মধ্যে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার যে ভূকম্পন হচ্ছে তা বড় ভূকম্পনের ইঙ্গিত। আর এটিই এখন আতঙ্কের বড় কারণ।
অপরিকল্পিত নগরায়নে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম কতটা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তা আঁতকে উঠার মতো। ভূ-তত্ত্ববিদদের মতে, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভূ-স্তরে ৪টি বিপজ্জনক ফাটল লাইন প্রবল ভূ-কম্পনের দিক নির্দেশ করে। এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দর, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, নগরীর খুলশী, মোহরা, মদুনাঘাট এলাকা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।
ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্ট (ডিসিসি) নামে একটি প্রতিষ্ঠানের জরিপে বলা হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড টেকনাফ ফল্ট বা ভূফাটল লাইন এবং রাঙ্গামাটির বরকল ফল্ট ও মিরসরাই থেকে টেকনাফ পর্যন্ত দীর্ঘ ভূ-ফাটল লাইন থেকে যে কোন সময় ৬ বা এর চেয়ে বেশি মাত্রায় ভূ-কম্পন হতে পারে।
চুয়েটের ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্রের সাম্প্রতিক রিপোর্টেও ভূ-স্তরের পাটাতনে ফাটলের কারণে ইউরোশিয়ান ও ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের ভূমিকম্পের জোনের মধ্যেই রয়েছে চট্টগ্রাম। এ প্লেট দুটি অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
চুয়েটের সাবেক ভিসি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৭ থেকে ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে চট্টগ্রাম শহরের নির্মিত ৭০ ভাগ ভবন ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে স্কুল ভবনগুলো। বিশেষ করে সরকারি বিদ্যালয় ও কেজি স্কুল ভবনগুলো অযন্ত-অবহেলায় রয়েছে। ফলে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে কোমলমতি শিশুরা।
সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম আলী আশরাফ বলেন, অতীতেও এ অঞ্চলে ভয়াবহ মাত্রায় ভূমিকম্প আঘাত করেছিল। ভূমিকম্পে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার বেল্ট বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
তিনি বলেন, ভূ-পাটাতনের (টেকটোনিক প্লেট) একটি ফাটল বা ফল্ট লাইন চট্টগ্রাম সমুদ্র উপকূল হয়ে আন্দামান পর্যন্ত চলে গেছে। অনেকগুলো ভূ-ফাটল লাইন, ভূমিকম্পের উৎসস্থল (ইপি সেন্টার) চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে কাছাকাছি অবস্থানে সক্রিয় রয়েছে।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম আলী আশরাফ আরো বলেন, ছোট ছোট ভুমিকম্প শক্তিশালী ভুমিকম্পের পূর্বাভাস। যদিও ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে দিনক্ষণ-সময় সুনির্দিষ্ট করে পূর্বাভাস দেয়া আজও সাধ্যের বাইরে। তবে ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যগত কিছু আলামত ভূমিকম্পের আলামত বহন করে। যা থেকে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।
চুয়েটের সদ্য বিদায়ী ভিসি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চট্টগ্রামে অপরিকল্পিত ও গুরুতর ত্রুটিপূর্ণ উপায়ে বাড়িঘর ও ভবনের হার শতকরা ৭৮ ভাগ। ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নকশা লঙ্ঘন করে অপরিকল্পিত, ত্রুটিপূর্ণভাবে এসব ভবন নির্মিত হয়েছে। যা মাঝারি বা শক্তিশালী ভূমিকম্পে অধিকাংশ ভবন ধসে পড়বে।
সিডিএমপির জরিপ মতে, বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ১ লাখ ৮০ হাজার ভবনের মধ্যে ১ লাখ ৪২ হাজার বাড়িঘর, ব্যবসা-বাণিজ্যিক ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। রিখটার স্কেলে ৭ থেকে ৮ মাত্রার মধ্যে ভূমিকম্প হলে সেসব ভবনের অধিকাংশই বিধ্বস্ত হতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ববিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের জরিপ রিপোর্ট মতে, জনসংখ্যার অব্যাহত চাপে ক্রমবর্ধিষ্ণু চট্টগ্রাম মহানগরীতে অপরিকল্পিত, দুর্বল-ভঙ্গুর, কারিগরি ত্রুটি ও ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িঘরসহ বিভিন্ন ধরনের ভবনের হার দেশের অন্যান্য শহর নগরের তুলনায় ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
এছাড়া বৃহত্তর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবানসহ শহর ও শহরতলীতে নির্বিচারে পাহাড় টিলা ধ্বংস, গাছপালা সাবাড়, পুকুর, দীঘি ভরাটের মাধ্যমে রাতারাতি বাড়িঘর, আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন, কল-কারখানা স্থাপন করা হয়েছে এবং তা অব্যাহতভাবে চলছে বলেও জানানো হয়।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে সাম্প্রতিককালে সংঘটিত ভূমিকম্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটে ১৯৯৭ সালের ২১ নভেম্বর। নগরীর কেন্দ্রস্থল হামজারবাগে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত একটি পাঁচতলা ভবন ধ্বসে ২৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া ১৯৯৯ সালের ২২ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত মহেশখালী ভূমিকম্প, ২০০৩ সালের ২৭ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত রাঙ্গামাটির বরকল ভূমিকম্পটিও উল্লেখযোগ্য।