ফেসবুকে ভাইরাল ‘গৃহবধুকে নির্মম নির্যাতনের নগ্ন ভিডিও (১৮+ ভিডিও )
প্রকাশ্যে এক গৃহবধূকে নগ্ন করে অমানবিক অত্যাচারের ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে। শুধু দেশেই নয় এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠেছেন দেশের বাইরে থাকা প্রবাসীরাও। দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন সংস্করণেও উঠে আসে এই ঘটনার বর্ণনা । মুহূর্তেই বন্ধ থাকা ফেসবুকেও উঠে ঝড় । গত কয়েকদিন এই ঘটনা নিয়ে ফেসবুকের হোমপেজ জুড়েই চলছিলো শত শত প্রতিবাদী পোষ্ট
অথচ পুরো ভিডিওটির বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন !
ভিডিওটির বিষয়বস্তু নিয়ে সবার সমবেদনা এবং প্রতিবাদ অবশ্যই আমাদের কাম্য। পৃথিবীর যে গোলার্ধেই এমন ন্যাক্যারজনক নির্যাতন হবে এভাবেই সরব হবে সচেতন মানুষেরা এটাই প্রত্যাশা । কিন্তু নেহায়েত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যখন প্রায় তিনবছর আগের একটি ভিডিওর অংশবিশেষ আমাদের দেশের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে তখন ?

হয়তো বুঝে নিতে বাকি থাকেনা আর কারো যে নিতান্তই অসৎ উদ্দেশ্যে এই ভিডিও প্রচার করছে কেও । উপরন্তু আরও বেশি অবাক হতে হয় যখন সত্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ঐ নারীর সম্ভ্রম হানির ঘটনা আমাদের দেশেরই নয় !
গতকদিন ধরেই সময়ের কণ্ঠস্বর ফ্যানপেজের ইনবক্সে এবং অফিসের নাম্বারে টেলিফোন করে কমপক্ষে জনা বিশেক পাঠকের অনুরোধ ছিলো , ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যাওয়া গৃহবধুর নির্মম নির্যাতন নিয়ে আমরা কেন প্রচার করছিনা ? প্রায় সবারই প্রবল বিশ্বাস ছিলো সময়ের কণ্ঠস্বরের সাথে যুক্ত ৫৫ লাখেরও বেশি ফেসবুক ব্যাবহারকারী চোখে এই ঘটনাটি পড়লে অবশ্যই বেরিয়ে আসতে পারে প্রকৃত অপরাধী। ঘটনাক্রমে হাজারো -লাখো ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীর মতই বিভ্রান্তির শিকার হয়েছিলেন আমাদের সম্মানিত পাঠকেরাও। গতরাতেই আমরা এই ঘটনা সম্পর্কে কারো কোন রকম ধারনা থাকলে জানাবার অনুরোধ সম্বলিত একটি পোস্ট করি ।
এরপর রাতভর অনুসন্ধানী চোখে প্রকৃত ঘটনা বের করবার প্রয়াস চালাতেই বেরিয়ে এলো ‘ ভাইরাল হয়ে পড়া ভিডিওটি স্রেফ বিভ্রান্তিকর’
নেপথ্য ঘটনা
নেপথ্য ঘটনা
২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের কোন এক তারিখে এই অমানবিক নির্যাতনের ঘটনা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ঘটেছিলো । ঐ নির্যাতিতা মহিলার ঘটনা নিয়ে সেসময় ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের অনেক বড় রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবেও দাড় হয়ে পরে । শুরু হয় রাজনৈতিক কাঁদা ছোড়াছুড়ি। অমানবিক ও ন্যাক্যারজনক সেই ঘটনায় সেসময় ৭ জন অভিযুক্ত গ্রেফতারও হয়েছিলেন । ততকালীন বিরোধী দল সিপিএম সেসময় পুরো ঘটনার দাঁয় চাপিয়ে দেয় কংগ্রেসের উপর ।
প্রায় তিনবছর পর ত্রিপুরা রাজ্যের সেই আলোচিত ঘটনাটির ভিডিও’র অংশবিশেষ বাংলাদেশের কোন একটি স্থানের হতে পারে সন্দেহে স্থান কাল পাত্র কিছুই উল্লেখ না করে দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হল ।উপরন্তু এই ঘটনার স্থান হিসেবে দাঁয় চাপিয়ে ” নো ‘ আদ্যক্ষরের একটি জেলার মানুষদের ঘারে দাঁয় চাপিয়ে ইতমধ্যে ফেসবুক জুড়ে কয়েক হাজার প্রতিবাদী পোষ্ট হয়ে গেলো ! এই বিভ্রান্তির দাঁয় কার ?

গৃহবধূকে নগ্ন করে ভিডিও ধারণ করে অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার মতন চরম এই অমানবিক কর্মকাণ্ডের হোতাদের খুঁজে বের করে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভাও করেছে রিয়াদে, সৌদি আরব প্রবাসী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম ।

0 comments:
Post a Comment