দিনের আলোয় মসজিদে মানুষের বেশে হাজির হলো জিন ! (ভিডিও সহ)
পবিত্র কুরআনুল কারিম অনুসারে জিন জাতি মানুষের মতো আল্লাহ তা’য়ালার তৈরি বিশেষ একটি জাতি যারা পৃথিবীতে মানব আগমনের বহু আগ থেকেই অবস্থান করছিলো এবং এখনো তাদের অস্তিত্ব রয়েছে। তবে মানুষের দৃষ্টি সীমার বাইরে তারা। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে জিনরা মানুষকে দেখতে পায়। জিনেরা বিশেষ কিছু ক্ষমতার অধিকারী হয়। জিনদের মধ্যেও মুসলিম এবং কাফির ভেদাভেদ রয়েছে। তারাও মসজিদে নামাজ পড়তে আসে। তাদেরও সমাজ
জীবন রয়েছে। তাদের আয়ূ মানুষের চেয়ে অনেক বেশি হয়। উদাহরনস্বরূপ বলা যায়, জিনেরা ৩০০ বছর বয়সে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। ইমাম ইবনে তাইমিয়ার মতে জিন জাতি তাদের অবয়ব যেকোন অবস্থানে এবং প্রয়োজনে পরিবর্তন করতে পারে।

ইসলাম ধর্ম অনুসারে জিন জাতি আল্লাহর এক বিশেষ সৃষ্টি। পবিত্র কুরআনের ৭২তম সুরা আল জ্বিন এ শুধু জিনদের বিয়ষ নিয়ে কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও পবিত্র কুরআনের সূরা আন নাস এর শেষ অংশে জিন জাতির বিশেষ উল্লেখ আছে। পবিত্র কুরআনে আরো বলা আছে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে সমগ্র জিন এবং মানবজাতির নবী হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। নবী হযরত সুলায়মান (আঃ) এর জিনদের নিয়ে গঠিত সৈন্যবাহিনী ছিলো বলে পবিত্র কুরআনে উল্লেখ রয়েছে। ইসলাম ধর্মে আরো বলা হয়ছে “ইবলিশ” তথা শয়তান প্রকৃতপক্ষে প্রভু ভক্ত জিন ছিল। ইসলাম ধর্মের মতে, ইবলিশ শয়তান হচ্ছে দুষ্ট জিনদের নেতা। ইবলিশ শয়তান ছিল প্রথম জিন যে আল্লাহর কথার অমান্য করেছিল। পবিত্র কুরআনে উল্লেখ আছে যে, ইবলিশ শয়তান এক সময় আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা ছিল । কিন্তু আল্লাহ যখন হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করলেন, তখন হিংসা ও অহংকারের বশবর্তী হয়ে ইবলিশ আল্লাহর হুকুম অমান্য করে। এ কারণে ইবলিশ কে বেহেশত থেকে বিতাড়িত করা হয় এবং এরপর থেকে তার নামকরণ হয় শয়তান। ইসলাম পূর্ব আরব উপকথা গুলোতে জ্বিন সদৃশ সত্ত্বার উল্লেখ আছে।
উল্লেখ্য যে, আরব্য রজনীর কাহিনীর মতো সবসময় জিন অসাধ্য সাধন করতে পারে না। কেননা ঝড়-বাদলের দিনে জিনরা চলতে পারে না। কারণ তারা আগুনের তৈরি বিধায় বৃষ্টির সময় আয়োনাজাইশেন ও বজ্রপাতের তীব্র আলোক ছটায় তাদের ক্ষতি হয়ে থাকে এবং কোন ঘরে যদি নির্দিষ্ট কিছু দোয়া-কালাম ও কাঁচা লেবু থাকে, তাহলে ঐ ঘরে জিন প্রবেশ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। আর একটি কথা মানুষ মাটি দিয়ে সৃষ্টি হলেও, শেষ পর্যন্ত এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। কারণ মানুষ মূলত মাটি, পানি, বায়ু ও অগ্নির সংমিশ্রণ। আর তাই জিন আগুনের শিখা দিয়ে পয়দা হলেও তাদের দেহে জলীয় পদার্থের সমাবেশ লক্ষণীয়। এর স্বপক্ষে যুক্তি হলো: রসুল (স.) একদা উল্লেখ করেছিলেন যে, শয়তান বলে একটি জিন একদা নামাজের সময় তাঁর সাথে মোকাবিলা করতে এলে তিনি ঐ জিনকে গলা টিপে ধরলে, সেইক্ষণে জ্বিনের থুথুতে শীতলতা অনুভব করেছিলেন।[সুরা সাদ ৩৮:৩৫] এতে প্রতীয়মান হয় যে, জিন যদি পুরোপুরি দাহ্য হতো, তাহলে ঠাণ্ডা থুথুর থাকার কথা নয়। এদিকে জিন তিন প্রকারের আওতায় বিদ্যমান, প্রথমত. জমিনের সাপ, বিচ্ছু, পোকা-মাকড়, ইত্যাদি; দ্বিতীয়ত. শূন্যে অবস্থান করে এবং শেষত সেই প্রকারের জিন, যাদের রয়েছে পরকালে হিসাব।
0 comments:
Post a Comment