সিসি ক্যামেরায় পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী খুনের দৃশ্য ( ভিডিও সহ )
চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খাতুনকে (৩২) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে পাঁচলাইশ থানাধীন নগরীর জিইসি মোড়ের ওয়েল ফুডের সামনে তাকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করা হয়।
ভিডিও দেখতে নিচের DOWNLOAD বাটনে ক্লিক করুন
পুলিশ সুপারের বাসার ১৫০ থেকে ২০০ গজের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। বাবুল আক্তার ঢাকাতে ছিলেন। স্ত্রী খুন হওয়ার খবর পেয়েই তিনি রওনা হন চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে।
গত এপ্রিলের শুরুতে পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া বাবুল আক্তার কাজ করছেন ঢাকার পুলিশ সদরদপ্তরে। পদোন্নতির আগে বাবুল আক্তার গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উত্তর-দক্ষিণ জোনের দায়িত্বে ছিলেন।
এক ফকির ও তার খাদেম হত্যা এবং বোমায় ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার দুটি ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে জেএমবির একটি আস্তানার সন্ধান পান বাবুল আক্তার। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকসহ জেএমবি নেতা জাবেদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত অক্টোবরে পুলিশের সঙ্গে এক অভিযানে থাকা অবস্থায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত হন জাবেদ।
গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মোক্তার আহমেদ বলেন, যেহেতু বাবুল আক্তার জঙ্গি দমনে অনেক কাজ করেছেন, তারাই পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি। তবে সব সম্ভাবনাই আমরা খতিয়ে দেখব।
মোটরসাইকেলে আসা হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল তিনজন, তাদের একজনের মাথায় হেলমেট ছিল বলে প্রতক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ জানিয়েছেন।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
পুলিশ বলছে, প্রতিদিনের মতো মাহমুদা তার প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে ও আর নিজাম রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে জিইসি মোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন। মাহমুদার মাথায় যখন গুলি করা হয়, তার ছেলে তখন পাশেই ছিল।
মা হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ছয় বছর বয়সী ছেলেটি বলছে, মোটরসাইকেলে যারা এসেছিল, তারা প্রথমে তাকে একপাশে সরিয়ে নিয়ে যায়। এরপর একজন তার মায়ের পেটে ছুরি মারে এবং পরে গুলি করে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বশির আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থলে তারা তিনটি অব্যবহৃত গুলি ও একটি গুলির খোসা পেয়েছেন। গুলিটি লেগেছে মাহমুদার মাথার বাঁ পাশে।
এদিকে বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের পর সমগ্র চট্টগ্রামে রেড এলার্ট জারি করেছে পুলিশ প্রশাসন। নগরীর বিভিন্ন স্থানে চেক পোস্ট বসিয়ে তল্লাসি শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। পুলিশ আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছে।
মোটর সাইকেল আরোহী তিনজন এসে সন্তানকে সরিয়ে রাস্তার উপর পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে যায়।