ব্যবসায়ীর স্ত্রী বা বান্ধবী সেজে মালয়েশিয়া, অতঃপর…
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় নারী পাচারের তথ্য নতুন কিছু নয়। ব্যবসায়ীর স্ত্রী বা বান্ধবী সাজিয়ে ভিজিটর ভিসায় বাংলাদেশের নারীদের নিয়ে যাওয়া হয় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরসহ বিভিন্ন শহরে। এরপর সেখানে তাদের দিয়ে করানো হয় পতিতাবৃত্তি।
মোটামুটি মাসখানেক তাদের মালয়েশিয়া রেখে লাখ টাকা দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। তবে এই টাকার একটা বড় অংশ হাতিয়ে নেন দালালরা। এরকম ভুয়া তথ্য দিয়ে শুক্রবার ভোরে মালয়েশিয়া ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন কয়েকজন নারী। মালিন্দো এয়ারলাইন্সের ওডি- ১৬২ ফ্লাইটে মালয়েশিয়া থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয় বাংলাদেশে।
সাকিব আর সহারার গোপন ভিডিও দেখতে নিচে ক্লিক করুন
সঙ্গে থাকা দালালদের ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে ভাই, মামা ও বন্ধু পরিচয় দিচ্ছিলেন এই নারীরা। তবে পারস্পরিক পরিচিতির বন্ধন মজবুত না হওয়ায় বিষয়টি ধরে ফেলে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশ।
এ দফায় যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে এক নারী (২৮) ছিলেন, যার বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। ওই নারীর সঙ্গে সরাসরি কথা হলে তিনি দাড়িওয়ালা এক ব্যক্তিকে নিজের ভাই বলে পরিচয় দেন। তাদের দু’জনের চেহারায় বা গায়ের রঙে ভিন্নতা বেশি থাকায়, আদৌ তারা ভাই-বোন কি না তা নিয়ে সন্দেহের উদ্রেক হয়।
ইমিগ্রেশন পুলিশ ওই নারীর কাছে মালয়েশিয়া আসার কারণ জানতে চায়। জবাবে তিনি বলেন, তার স্বামী মালয়েশিয়া থাকেন। এবার পুলিশ এই নারীর কাছে তার স্বামীর মোবাইল নম্বর চান। সেটি দিতে ব্যর্থ হলে ওই নারীকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এই নারী জানান, তার চার বছরের একটি মেয়ে শিশু রয়েছে। সন্তানকে দেশে রেখে বিদেশে স্বামীর সঙ্গে কেন দেখা করতে রওয়ানা হলেন- জানতে চাইলে সঙ্গে থাকা ‘ভাই’য়ের ইশারায় সেখান থেকে দ্রুত কেটে পড়েন তিনি।
এই নারীর ভাই পরিচয়দানকারী আব্দুল হাই জানান, তিনি প্রায়ই মালয়েশিয়া যাতায়াত করেন। বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। তবে তিনি তার মোবাইল নম্বরটিও দিতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী ড. নেহাল করিম বলেন, বিদেশে বাংলাদেশি মেয়েরা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে- এ অভিযোগ ঠিক না। এটি দেহ ব্যবসা, কোনো সামাজিক সমস্যা না। এটি সামাজিক প্রয়োজন। সারা বিশ্বে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এসব চলছে। কেউ করছে অর্থের জন্য, আবার কেউ দেহের প্রয়োজনে।
মালয়েশিয়ায় ভ্রমণে আসা পর্যটক মাইনুর বলেন, ‘এখানে (মালয়েশিয়া) ইমিগ্রেশনে পুলিশ যথার্থ প্রশ্ন করে। কিন্তু যারা পর্যটক হিসেবে আসা অনেকে সঠিক তথ্য দিতে পারেন না। এ কারণে পর্যটকদের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।’
0 comments:
Post a Comment